১৯২১ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে 'উয়েভিং স্কুল' নামে ঢাকার নারিন্দায় একটি প্রতিষ্ঠানটি চালু হয়েছিল। সময়ের পরীক্রমায় প্রতিষ্ঠানটি আজ বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে৷ পাকিস্তান সরকার ক্ষমতা লাভের পর ১৯৫০ সালে এর নামকরণ করা হয়, 'ইস্ট পাকিস্তান টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট'৷ পরবর্তিতে ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়৷ ১৯৭৮ সাল থেকে এখানে চার বছর মেয়াদী বি.এসসি কোর্স চালু করা হয় এবং নামকরণ করা হয় 'কলেজ অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি'(CTET)। দেশের চলমান অর্থনীতিতে পোশাক শিল্পের গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০১০ সালে টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার প্রস্তাব করা হলে বিলটি জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর ‘বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় বিল’ টি চূড়ান্তভাবে পাস হয়, যা ২২ ডিসেম্বর, ২০১০ থেকে কার্যকর হয়। এ জন্য প্রতি বছর ২২ ডিসেম্বর 'টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস' হিসেবে পালন করা হয়। ২০১১ সালের ১৫ মার্চ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়’(BUTex) – এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
[২] বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক মানের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার গড়ে তুলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অগ্রগতিতে অসামান্য ভূমিকা রাখছে।