১
. লিভারেজিং-আইসিটি-প্রকল্প
তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক শিল্পের প্রসার ও উন্নয়নের মাধ্যমে এ খাতে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানী বহুমুখীকরণ, সরকারের সেবার মান উন্নয়ন ও জনগণের দোরগোড়ায়সেবা পৌছে দেয়া। তাছাড়া প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি খাতে ত্রিশ হাজার (৩০,০০০) প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।
২. ফোর টায়ার ডাটা সেন্টার প্রকল্প
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ও ‘ভিশন ২০২১’ বাস্তবায়নে নানাবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এর ফলে দেশের সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন নাগরিক সেবার ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে। এ কারণে ক্রমাগত বিপুল পরিমাণ তথ্য বা ডেটার উৎপত্তি ঘটছে যার নিরাপদে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ চাহিদা মেটানোর জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিশ্বমানের ডেটা সেন্টার প্রয়োজন।
৩. ইনফো-সরকার–প্রকল্প (ফেজ-৩)
রূপকল্প ২০২১:ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে জনগনের সেবার মান উন্নয়নের লক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) কর্তৃক জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন (ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায় প্রকল্প) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের মেয়াদ ০১ জানুয়ারি ২০১৭ হতে ৩০ জুন ২০১৯। দেশের প্রান্তিক গ্রামীণ জনপদে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা সরবরাহের
৪. উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প
উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্পটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে প্রকল্পটি সম্পুর্ন জিওবি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ২২৯৭৩.৮৬ লক্ষ টাকা। উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমীর মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেম তৈরি ও উদ্যোক্তা বান্ধব সংস্কৃতি তৈরি করা
৫. “ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্ণমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন (১ম সংশোধিত)” প্রকল্প
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে “ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্ণমেন্ট মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন” শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের ই-গভর্ণমেন্ট বাস্তবায়ন অভিজ্ঞতা শেয়ারিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে দক্ষতা বৃদ্ধির বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং অধিদপ্তর/ সংস্থা-কে বাংলাদেশ ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার ফ্রেমওয়ার্ক এর আওতায় আনার জন্য রোডম্যাপ প্রণয়নও অন্তর্ভুক্ত আছে।।
৬.গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প
বাংলা ব্যবহারের দিক থেকে পৃথিবীতে প্রভাবশালী ভাষাগুলোর একটি। বাংলা ভাষাভাষীর রয়েছে রক্তস্নাত ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস। দেশ ও ভাষার মর্যাদা রক্ষায় এই জাতির রয়েছে গৌরবময় ঐতিহ্য, রয়েছে ভাষার প্রতি দরদ, ভাষাকে সমুন্নত রাখার চেতনা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলা ভাষাকে প্রযুক্তিবান্ধব করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ভিত্তি তৈরি হয়নি, বিশেষ করে কম্পিউটিংয়ে বাংলা ভাষাকে অভিযোজিত করার ক্ষেত্র--খুব বেশি অগ্রসর হয়নি । আনন্দের বিষয় যে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের এর তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক পরিসরে নেতৃস্থানীয় ভাষা হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশেষ করে, কম্পিউটিং ও আইসিটিতে বাংলা ভাষাকে অভিযোজিত করার উদ্দেশ্যে ‘গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ’ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
৭. বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট ইআরপি
সরকারী সংস্থার অটোমেশনে বিচ্ছিন্ন কিছু সিস্টেম তৈরী হচ্ছে যা বিভিন্ন সংস্থার তথ্য বিনিময়ে বিশাল বাঁধা। সরকারের সকল সংস্থার জন্য একটি একক সমাধান পদ্ধতি বিবেচনা করে “বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট ইআরপি” তৈরীর মাধ্যমে ই-গভর্নমেন্টের জন্য প্রতিষ্ঠিত অবকাঠামো ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে। অধিকিন্তু, ওপেন সোর্স লাইসেন্স-ফ্রি সফটওয়্যার ব্যবহার করে বাংলাদেশ সরকারের জন্য একটি কাস্টমাইজড "ইআরপি"
৮. ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী প্রকল্প
বাংলাদেশ সরকারের সকল পর্যায়ে বিগত ২০০৯ সন হতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর প্রধান লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে প্রযুক্তি ভিত্তিক বিশেষতঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ভিত্তিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা। এরূপ উন্নয়নের ছোয়াঁয় দেশের সর্বত্র ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারিত হয়েছে এবং
৯. সফ্টওয়্যার কোয়ালিটি পরীক্ষা ও সার্টিফিকেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠাকরণ
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সরকারী দপ্তর/সংস্থা প্রয়োজনানুযায়ী সফটওয়্যার উন্নয়ন / ক্রয় করছে। কিন্তু এসকল সফটওয়্যার এর গুণগত মান পরীক্ষাকরণের কোন আন্তর্জাতিক মানের স্বীকৃত সেন্টার না থাকায় এসকল উন্নয়নকৃত/ক্রয়কৃত সফটওয়্যার এর যথাযথ উপযোগিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হতো না। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য বর্তমান সরকার দেশে উন্নয়নকৃত/ক্রয়কৃত সফটওয়্যার এর গুণগত মান পরীক্ষাকরণের লক্ষে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক মানের “সফটওয়্যারের কোয়ালিটি পরীক্ষাকরণ ও সার্টিফিকেশন সেন্টার” স্থাপন করার লক্ষে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয় ।
১০. তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারসহ সব ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়
বাংলাদেশ সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কিন্তু গৃহীত এ কর্মসূচিগুলো চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় একীভূত না করে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আইসিটিতে প্রবেশগম্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে যা তাদের আইসিটিতে দক্ষতা বাড়ানোর সাথে সাথে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।
১১. বাংলাদেশ সরকারের জন্য নিরাপদ ই-মেইল ও ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন
সরকারি ই-মেইল নীতিমালা’র আলোকে সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নিরাপদ ই-মেইল সিম্টেম বাস্তবায়ন ও ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টারের মাধ্যমে উন্নয়নকৃত কনটেন্ট-এর মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারের জন্য নিরাপদ ই-মেইল ও ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন
১২. ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্প
১৩. জাপানিজ আইটি সেক্টরের উপযোগী করে আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প
জুলাই ২০১৫ তে প্রকাশিত আইএমএফ এর ওয়ার্কিং পেপার (WP/15/181) অনুযায়ী, জাপানের নিজস্ব শ্রমশক্তি আগামী দুই দশকে সঙ্কুচিত হবে। জাপানের নিজস্ব জনশক্তি ২০১০ সালে ৬৩.০ মিলিয়ন থেকে নেতিবাচক ধারায় ২০৩০ সালে ৫৪.৫ মিলিয়নে নেমে আসবে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাপানি মার্কেটের জন্য কাজ করতে পারে এমন দক্ষ আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে
১৪. দুর্গম এলাকায় তথ্য প্রযুক্তি নেটওয়ার্ক স্থাপন (
কানেক্টেড বাংলাদেশ)
প্রকল্প
দুর্গম এলাকায় তথ্য প্রযুক্তি নেটওয়ার্ক স্থাপন (কানেক্টেড বাংলাদেশ) প্রকল্পটি বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত প্রকল্পসমূহের মধ্যে অন্যতম। এ প্রকল্পটি ডিজাটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে সরকারের রূপকল্প ২০২১-এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সরকারের এ রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার দেশব্যাপী সুদৃঢ়, আধুনিক এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে। এ লক্ষ্যে সারা দেশে আইসিটি নেটওয়ার্ক স্থাপন কার্যক্রম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের 772টি দুর্গম ইউনিয়নকে এই নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে।