সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
About:
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ইতিহাস
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর এদেশে ভারত থেকে মোহাজেরদের আগমন ঘটে। ফলে তৎকালীন প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকায় বস্তি সমস্যাসহ সৃষ্টি হয় নানা সামাজিক সমস্যা। এসকল সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৫৫ সালে স্বাস্থ্য পরিদপ্তরের আওতায় সর্বপ্রথম ঢাকার কায়েতটুলিতে ‘শহর সমাজসেবা কার্যক্রম’ চালু হয়। পাশাপাশি সামাজিক সমস্যা নিরসনে ও সমাজকল্যাণ কর্মকান্ডে স্বেচ্ছাসেবী কর্মী ও সংগঠনকে উৎসহ ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য একটি রেজল্যুশনের মাধ্যমে ১৯৫৬ সালে গঠিত হয় সমাজকল্যাণ পরিষদ।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমূহের কর্মকাণ্ডকে একটি নিয়মনীতির আওতায় আনয়নের জন্য ১৯৬১ সালে জারী করা হয় ‘স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ’। ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে স্থানান্তরিত ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র, শিক্ষা পরিদপ্তর হতে স্থানান্তরিত সরকারি এতিমখানা এবং সমাজকল্যাণ পরিষদ হতে হস্তান্তরিত হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব প্রাপ্তির মাধ্যমে কাঠামোগতভাবে ১৯৬১ সালে স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজকল্যাণ পরিদপ্তর সৃষ্টি হয়।
১৯৭২ সালে স্বাধীন দেশের উপযোগী করে শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নামে এ মন্ত্রণালয় কার্যক্রম শুরু করে। একই সময় সমাজকল্যাণ পরিষদ নতুন রেজল্যুশনের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ’ গঠিত হয়। শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজকল্যাণ পরিদপ্তরের কার্যক্রম দেশব্যাপী সম্প্রসারণ এবং সদ্য স্বাধীন দেশের সামাজিক সমস্যাসমূহ টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজকল্যাণ পরিদপ্তর সমাজকল্যাণ বিভাগ হিসেবে উন্নীত হয় এবং বাংলাদেশে ইতিহাসে সর্বপ্রথম ‘পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম’ নামে ‘ক্ষুদ্রঋণ’ কর্মসূচি চালু হয়। ১৯৭৮ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সরকারের একটি স্থায়ী জাতিগঠনমূলক বিভাগ হিসেবে মর্যাদা লাভ করে।
১৯৮৪ সালে সরকারের বিভাগ পুনর্গঠন সম্পর্কিত প্রশাসনিক কমিটির সুপারিশক্রমে সমাজকল্যাণ বিভাগকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে ।
১৯৮৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহামান্য প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ান এ অর্থায়নে গঠিত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ান ট্রাস্ট (বাংলাদেশ), বাংলাদেশ সরকার ও আবুধাবী ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (ADFAED) এর মধ্যে একটি সম্মত কার্যবিবরণী’র ভিত্তিতে গঠিত হয়। যা পরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়।
১৯৮৯ সালের ০৯ নভেম্বর তারিখ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় একক নামে একটি সম্পূর্ণ পৃথক মন্ত্রণালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং ২১ ডিসেম্বর ১৯৮১ তারিখে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যতালিকা (
Allocation of Business) নির্ধারণ করা হয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং সুইডিস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (সিডা) এর আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় টংগীতে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বৃত্তিমুলক প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র এর শিল্প উৎপাদন ইউনিট স্থাপন করা হয়। সুইডেন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ উক্ত শিল্প উৎপাদন ইউনিটির নাম রাখা হয় ‘মৈত্রী শিল্প’। ১৯৯০ সালের ১২ ডিসেম্বর সরকার ‘শারীরিক প্রতিবন্ধী কল্যাণ ট্রাস্ট’ নামে একটি ট্রাস্ট গঠনপূর্বক উক্ত ট্রাস্টের আওতায় গঠিত বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর নিকট ‘মৈত্রী শিল্প’ হস্তান্তর করে।
দেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের জন্য দ্য সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৮৬০ এর আওতায় ১৯৯৯ সালে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নিবন্ধিত হয় ও এর সংঘস্মারক ও গঠনতন্ত্র প্রণীত হয়। ২০০০ সালে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে এ মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা হিসেবে ন্যস্ত করা হয়। জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে একটি পূর্ণাঙ্গ অধিদপ্তরে রূপান্তর করার জন্য ইতোমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
২০১৩ সালে মহান জাতীয় সংসদে ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩’ অনুমোদিত হয়। উক্ত আইনের আওতায় ২০১৪ সালে গঠিত হয় ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট যা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন নবীনতম সংস্থা।
Mission & Vission:
ভিশন
উন্নত জীবন এবং যত্নশীল সমাজ
মিশন
সামাজিক সুরক্ষা, ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের মাধ্যমে দরিদ্র, অসহায় জনগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নত জীবন প্রস্তুত
Facilities:
As a company policy
Preferred Work Types:
মধ্যমেয়াদি কৌশলগত উদ্দেশ্য
১. আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে সাম্যতার বিধান;
২. সমস্যাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা;
৩. সামাজিক ন্যায় বিচার ও পুনঃএকত্রীকরণ।
Contact Us
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারভবন-৬, ৪র্থ তলাবাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকাঢাকা-১০০০বাংলাদেশ